নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুরসালিনা খাতুন (২৮), নামের যুবতীকে একবছর যাবত ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ কৌশিক ওরফে আতিকুল ইসলামকে (৩২), গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারের পর থেকে যুবতী ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে আসামীর পরিবার ও তাদের লোকজন বলে অভিযোগ যুবতীর। গ্রেফতার ধর্ষক মোঃ কৌশিক ওরফে আতিকুল ইসলামকে (৩২), তিনি মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া (বল্লভগঞ্জ), এলাকার আরমান আলীর ছেলে।
ধর্ষিতা মুরসালিনা খাতুন জানায়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের জোন- ৭, ওয়ার্ড নং-১৯/২০ ও ২১ এর মহিলা কমিশনারের কার্যলয়ের সচিব পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় একই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কর্মরত ছিল আসামী কৌশিক। সেই সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয় হয় এবং বিবাদী আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।
এরপর ধিরে ধিরে বিবাদীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৭/০৯/২০২৪ রাত ৮টার দিকে আমার ভাড়াকরা বাড়ির গেটে এসে ফোন দিয়ে বিয়ের বিষয়ে কথা আছে বলে জানায় কৌশিক। ওই সময় আমি সরল বিশ্বাসে আমার বাড়ির গেট খুলে দিলে বিবাদী বাড়ির ভিতরে আমার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে এবং আলোচনার একপর্যায়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলে সে আমার সাথে ওয়াদা করে বলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিয়ে করবে। কিন্তু এভাবে মাসের পর মাস বছর অতিবাহিত হয়।
সে আমার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করে। কিন্তু বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যায়। সর্বশেষ ০৩/০৪/২০২৫ আসামী সর্বশেষ আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (ধর্ষণ) করে। সম্পর্ক চলাকালীন সময় আসামী বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে থেকে আড়াইলক্ষ টাকা গ্রহণ করে।
এছাড়াও সে আমার নিজ নামীয় অগ্রণী ব্যাংকে (নগর ভবন শাখা, রাজশাহী, যাহার একাউন্ট নম্বর-০২০০০২১৪৯৬৩২৭) একাউন্ট খুলে স্বামী পরিচয় দিয়ে আমার একাউন্টের নমিনী হয়। গত (২ মে) আমার মোবাইল নং বøক লিস্টে রেখে দেয়। গত ৮মে গোপনে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণ ও প্রতারণার মাধ্যমে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে অভিযোগ গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) আমি বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। মামলা নং-০৯, তাং-০৮-০৫-২০২৫। মামলার পর গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল আসামী কৌশিককে নগরীর বর্নালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ওইদিন আমার বারার বাড়ি গিয়ে আসামীর বাবা-মা, আমার মা-বাবাকে দুই দফা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে আসামী পরিবার ও তাদের লোকজনের হুমকিতে আমি নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছি বলেও জানান যুবতী মুরসালিনা খাতুন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোঃ মতিহার রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারীকে হুমকির বিষয়ে আমি অবগত নই। থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।